ডেস্ক রিপোর্ট :মফস্বল শহরেও সংঘর্ষ ও সংঘাতের মধ্যে দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয়েছে।আমাদের পাইক গাছা,মোড়েলগঞ্জ,সাতক্ষীরা,মিরসরাই,নন্দীগ্রাম ও দামুড়হুদা প্রতিনিধির পাঠানো খবর ও ছবি:মৌলভীবাজারে শান্তিপুর্ণ ভাবে অবরোধ কর্মসুচি পালিত
আব্দুল হাকিম রাজ.মেŠলভীবাজার থেকেঃ সারাদেশে বিএনপি,র ডাকা অবরোধ কর্মসুচির অংশ হিসাবে মৌলভীবাজারে পৃথক পৃথক ভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি।জেলার শেরপুর গোলচত্বর এলাকায় জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান ও সাধারণ সম্পাদক খালেদা রববানী সমর্থিত নেতাকর্মীরা পৃথক মঞ্চ তৈরি করে এ কর্মসূচি পালন করেন।সকাল ৮টা থেকে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শেরপুর গোলচত্বরে জড়ো হয়।এ সময় গোলচত্বরের পশ্চিমপাশে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান, মৌলভী আব্দুল ওয়ালি সিদ্দিকী, আব্দুল ওদুদ, জামায়াতের আমির আব্দুল মান্নান, খেলাফল মজলিসের শহীদ খালেদ সাইফুল্লাহ, ফয়ছল আহমদ, এম ইদ্রিছ আলী, জাকির হোসেন উজ্জ্বল, মারুফ আহমদ, ছাত্র মজলিসের আহমেদ বেলাল প্রমুখ।অপরদিকে, পূর্বপাশের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বেগম খালেদা রববানী, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মিজানুর রহমান মিজান, আয়াছ আহমদ প্রমুখ।অবরোধ চলাকালীন সময়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দুরপাল্লার যানবাহন, লোকাল বাস, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।তবে কোথাও কোন ধরনের অপৃথীকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।উপজেলা সদর গুলোতে অবরোধ কর্মসুচির সমর্থনে মিছিল খন্ড-খন্ড মিছিল হয়েছে।
মোড়েলগঞ্জে জামায়াত বিএনপির
অবরোধ কর্মসূচী পালিত
আমাদের মোড়েলগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি জানান, সারাদেশের ন্যায় গতকাল বিএনপি আহুত অবরোধ কর্মসূচী বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জেও পালিত হয়েছে। কর্মসূচী বাস্তবায়নের লক্ষে সকাল ৬টা থেকেই সড়ক মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে অবস্থান নেয় বিএনপি ও সমমনা দলের নেতা কর্মীরা। তারা মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ-বাগেরহাট সড়কের মেম্বর ব্রিজ, কেয়ার বাজার, সিআরসি, কালিকাবাড়ি, দৈবজ্ঞহাটি এলাকায় রাস্তায় গাছ ফেলে ও টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস নং খুলনা-ব-৮১৮ ভাংচুর করে বিএনপির পিকেটাররা। এ ঘটনায় মহিলাসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়। এ ভাবে সকাল ৯ টা পর্যন্ত সড়কগুলো বিএনপির দখলে থাকলেও এরপরে আওয়ামী ক্যাডাররা পুলিশের সহযোগীতায় সড়কে দখল নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাদের হামলায় ছাত্রদলের রিপন হাওলাদার(২৫), মিল্টন হাওলাদার(২৬), নাইম হাওলাদার(১৮) ও রবিউল ইসলাম (২৫) রক্তাক্ত জখম হয় এবং আলামিন (২৩) ও পান্না (২৫) নামে বিএনপির অপর দুই কর্মীকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করে। সকাল ১০টার দিকে দৈবজ্ঞহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অবরোধ কর্মসূচীর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ##
বগুড়াস্থ নন্দীগ্রামে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যেদিয়ে
বিএনপির অবরোধ পালিত
নজরুল ইসলাম(বগুড়া) ঃ সারাদেশে বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচি বগুড়ার নন্দীগ্রামে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে। জানাযায়,অবরোধ চলাকালে বেলা ১১টায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তফা আলী মুকুলের নেতৃত্বে উপজেলা ও পৌর বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল ও শ্রমিকদল অবরোধের পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বাহির করে । অপরদিকে দুপুর ১২টায় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অবরোধ বিরোধী মিছিল বাহির হয়। মিছিল টি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের নন্দীগ্রাম ফিলিং স্টেশনের নিকট পৌছিলে অবস্থানরত বিএনপি’র নেতা কর্মীদের ধাওয়া করলে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পাইকগাছায় রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ও আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ
পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ
কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচী পাইকগাছায় শান্তিপুর্ণভাবে পালিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক জামায়াত শিবিরের কয়েক’শ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল শেষে সরল বাজারস্থ প্রধান সড়ক, চারা বটতলা নামক স্থানে,শিববাটি ব্রিজের উপর টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ও রাস্তার উপর গাছের গুড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে তা অপসরন করে ফেলে। সকাল থেকে দুরপালার কোন যাত্রীবাহী বাস কিংবা ট্রাক চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ইঞ্জিন চালিত নছিমন,করিমন, মহেন্দ্রর চলাচল ছিল স্বাভাবিক। উপজেলার জিরো পয়েন্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিল বেশ তৎপর। অবরোধ কর্মসূচীতে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা স্থানীয় ঢাকাগামী পরিবহন চত্ত্বরে এলাকায় অবস্থান নেয়। এ সময় থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ ইমামুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এ্যাড আবু সাঈদ। বিশেষ অতিথি জেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আব্দুল মজিদ, শেখ আনারুর ইসলাম, আসলাম পারভেজ, আঃ গফুর, তুষার কান্তি মন্ডল, মাসুদ পারভেজ, শ্রমিক দল সভাপতি শেখ আমিনুল ইসলাম, কৃষক দল সভাপতি আবুবক্কর সিদ্দিকি। বক্তব্য রাখেন, শফিকুল ইসলাম, আঃ মজিদ গোলদার, মিজান সরদার, আবুল কালাম আজাদ, কাজী সাজ্জাত আহম্মেদ মানিক, মেছের আলী, সোহেল আহম্মেদ, মিথুন, ইমরান সরদার, শামছুজ্জামান, শাহিনুর রহমান, মিরাজ আহম্মেদ, সন্তোষ সরকার, আনারুল, শামিম জোয়াদ্দার, মন্টুগাজী, রেজউল করিম, মিল্টন সরদার, দেবকুমার। অপর দিকে থানা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ জি এ সবুরের সভাপতিত্বে দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শেখ রুহুল কুদ্দুস,শেখ সাদেকুর রহমান, সোলাদান ইউপি চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক, কিরোন চন্দ্র বিশ্বাস, শহিদুল ইসলাম, সিদ্দুকুর রহমান বাচ্চু, তোফাজ্জেল মোড়ল, বেনজির আহম্মেদ লাল, ছাত্র নেতা এস এম ইমদাদুল হক, আবুল হেসেন প্রমুখ।
সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধ পালিত
এম. বেলাল হোসাইন , সাতক্ষীরা ঃ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ দলীয় জোটের ডাকে দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি সাতক্ষীরায় শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। রোববার ভোর থেকেই জেলা বিএনপি ও জামায়াত ইসলামসহ ১৮ দলীয় জোটের নেতারা পৃথক পৃথক স্থানে রাজপথ অবরোধ কর্মসুচি পালন করে। শহরের কদমতলা বাজারে জেলা জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের কয়েক হাজার নেতা কর্মীরা লাটিসোটা হাতে নিয়ে এবং রাজপথে গাছের গুড়ি ফেলে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবীতে শ্লোগান দিতে থাকে। অবরোধ চলাকালীন সময়ে সাতক্ষীরায় কোন যানবাহন চলাচল করেনি। সাতক্ষীরা কেনদ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে কোন রুটে যান বাহন ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। এদিকে শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ নেতাকর্মীরা রাজপথ দখল নিয়ে মহাসড়কগুলি অবরোধ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফারুক, এড. শামসুজ্জোহা বাবলু, সাধারণ সম্পাদক এড. সৈয়দ ইফতেখার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাছকিন আহমেদ চিশতি, ডাঃ শহীদুল ইসলাম, জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা আমির মোহাদ্দিস আব্দুল খালেক, সাবেক সাংসদ আব্দুল খালেক, জেলা নায়েবে আমীর মাওঃ রফিকুল ইসলাম,সহ সেক্রেঃ জেনারেল এড. আজিজুল ইসলাম, মাওঃ হাবিবুর রহমান, শাহাদাত হোসেন, আজিজুর রহমান, খোরশেদ আলম, রোকনুজ্জামান প্রমুখ। অপর দিকে অবরোধ চলাকালীন সময়ে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি এ্যম্বুলেন্স ভাংচুর ও গাড়ী চালককে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অবরোধে মিরসরাই রণক্ষেত্র
ছাত্রলীগের ব্যাপক লুটপাট
সাংবাদিক-পুলিশসহ উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত
মিরসরাই(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
রবিবার বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচিতে সকাল থেকে দিনভর মিরসরাইয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থকদের ব্যাপক সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এসময় উপজেলার বারইয়াহাট ও মিরসরাই সদরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটতরাজ চালিয়েছে ছাত্রলীগ কর্মীরা। অবরোধকারীরা ২০টিরও বেশি গাড়ি ভাংচুর করেছে। এসময় সময় পুলিশ-সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের ১৭ জন কর্মী আহত হয়েছে। রবিবার (৯ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এছাড়া চট্টগ্রাম উত্তজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে মিরসরাই উপজেলা বিএনপি বাদামতলি এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগও অবরোধ বিরোধী মিছিল সমাবেশ করেছে বারইয়াহাট পৌরসদরে।
রবিবার ভোর ৬টা থেকে উপজেলার বারইয়াহাট পৌর এলাকা, মিরসরাই সদর, মিঠাছরা বাজার ও কমলদহ এলাকায় সড়কে টায়ার ও গাছের গুড়ি দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। অবরোধকারীদের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বেলা বাড়ার সাথে সাথে বারইয়াহাট, কমলদহ, মিরসরাই সদরে অবরোধকারী ও সরকারদলীয় সমর্থিতদের সাথে দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় ২০টিরও বেশি বাসে ভাংচুর চালায় পিকেটাররা। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। দিনের ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ নেতা কর্মী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বেলা ১২টার পর থেকে রাজপথের নিয়ন্ত্রন নেয় পুলিশ-র্যাব ও সরকারদল সমর্থিতরা। এসময় উপজেলার বারইয়াহাট পৌর বাজার এলাকায় বিএনপি সমর্থিতদের ১০টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে সরকার দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
এসময় তারা ওই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক লুটতরাজ চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ভাংচুরকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হল- বারইয়াহাট পৌর বাজারের আলিফ, ফুডল্যান্ড, বিসমিল্লাহ রেঁসেত্মারা, মিয়াজী টিম্বার, মুক্তা ভিডিও এডিটিং সেন্টার, সুমনের পান দোকান, শাহ্ আমানত হোটেল, ফিরোজ এন্টার প্রাইজ, রবিউল আউয়াল ও বারইয়াহাট পৌর বিএনপির কার্যালয়।
চাইনিজ রেঁসেত্মারা ফুডল্যান্ডের মালিক বিএনপি নেতা খায়েজ আহম্মদ জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা স্বশস্ত্র অবস্থায় রেষ্টুরেন্টে হামলা চালায় এবং ক্যাশে থাকা টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
আলিফ রেঁসেত্মারার মালিক উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন জানান, ‘ছাত্রলীগের লোকজন তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে। এসময় তারা দোকানের বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।’&
একই রকম অভিযোগ করে ফিরোজ এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগের কর্মীরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে এবং ক্যাশে থাকা ২৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’
বারইয়াহাটে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ভাংচুর লুটপাট ও হামলার অভিযোগ সম্পর্কে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাইনুর ইসলাম রানা জানান, ‘বিএনপি নেতা চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নেতৃত্বে এসব ঘটনা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। এটা বিএনপির অমত্মকোন্দলের জের।’
বেলা সাড়ে বারোটার দিকে মিরসরাই থানার সামনে ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায় পুলিশের ওপর।এসময় তাদের হামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আক্তার হোসেন আহত হয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাকে বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
বেলা ১টার দিকে মিরসরাই উপজেলা সদরে লাঠিসোঠা নিয়ে মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ। এসময় তারা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়। ভাংচুরের দৃশ্য ক্যামেরায় ধারন করতে গেলে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন এর মিরসরাই প্রতিনিধি সাংবাদিক এম আনোয়ার হোসেনের ওপর চড়াও হয় ছাত্রলীগের স্বশস্ত্র একদল ক্যাডার। তারা ওই সাংবাদিকের ক্যামেরাও কেড়ে নেয় এবং তাকে লাঠিসোঠা দিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা সদরের মাতৃকা হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে।
এঘটনায় মিরসরাই উপজেলা সাংবাদিক সমাজ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সাংবাদিক আনোয়ারের ওপর ছাত্রলীগের হামলার কথা স্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাইনুর ইসলাম রানা বলেন, ‘ছাত্রলীগ কর্মীদের সাথে সাংবাদিক আনোয়ারের কথা কাটাকাটি হয়েছে, হামলার মত কোন ঘটনা ঘটেনি।’
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন জানান, ‘সকাল থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের অবরোধে বাঁধা দেয় এবং স্বশস্ত্র অবস্থায় বারইয়াহাটে ১৮ দলীয় জোটের শামিত্মপূর্ণ কর্মসূচীতে বাঁধা দেয় এবং ছাত্রলীগ ক্যাডাররা বারইয়াহাটে বিএনপি সমর্থিতদের বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায়’ এছাড়া তিনি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের ১৫ কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন।
তবে বিএনপির দাবি নাকচ করে দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি-শিবিরের হামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। সরকারদলের কোন কর্মী কারো ওপর হামলা করেনি। বারইয়াহাটে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন মেম্বারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রোজিনা হোটেলে বিএনপি সন্ত্রাসীরা ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়েছে।
দামুড়হুদায় ১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচী পালিত
মেহেদী হাসান তুহিন,দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ
দামুড়হুদা-দর্শনা মহাসড়কে পৃথক ৩ জায়গায় টায়ার পুড়িয়ে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও বিÿÿাভ মিছিলের মধ্য দিয়ে ১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অবরোধ চলাকালীন সময় যুবলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
গতকাল রোববার সকাল ৬ টার সময় দামুড়হুদা-দর্শনা মহাসড়কের হঠাৎপাড়া মোড় ও বাসস্ট্যান্ডে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়ির সামনে টায়ার জালিয়ে বিÿÿাভ করে এসময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে বেলা ১২ টার সময় দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড মোড়ে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচীতে যুবলীগ হামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ইদ্রিস আলী , বিএনপি নেতা হাসনাত আলী, শরিফউদ্দিন , বাবলু, সাইদুর , আশরাফুল সহ ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। ##
পাবনায় ৩০ টি গাড়ি ভাংচুর : আহত ১০ : আটক ১২
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, পাবনা :
পুলিশের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে রোববার পাবনায় রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। অবরোধকারীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৩০টি গাড়ি ভাংচুর করে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়েছে ১০ অবরোধকারী এবং বিভিন্ন স্থান থেকে ১২ জন বিএনপি, জামায়াত ও শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সকাল ৬টা থেকে পাবনা-ঢাকা মহাসড়কের বাস টার্মিনাল, পুষ্পপাড়া, মধুপুর, তারাবাড়িয়া, কাচিপাড়া, দুবলিয়া, কোলাদী, শ্রীপুর, ধোপাঘাটা, দাশুড়িয়াসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে লাঠিশোটা নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ও পাথর ফেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে বিএনপি, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা।
অবরোধকারীরা মধুপুর এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান, ধোপাঘাটা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স, বাস টার্মিনাল ও দাশুড়িয়ায় ১৩টি ট্রাকসহ কমপক্ষে ৩০টি বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত: ১০ অবরোধকারী আহত হয়। অবরোধ চলাকালে পাবনা সদর, চাটমোহর, ফরিদপুর ও বেড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের ১২ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, ভোর থেকেই পাবনা পৌর সদর, বাস টার্মিনালসহ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও স্থান সমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। টহল দিয়েছে র্যাবের একটি টহল দল। সকাল থেকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে দুরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। আভ্যন্তরীণ রুটেও যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
’