এম. বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরাঃ সম্পুর্ন অ-গণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে আমাকে উপজেলা আ’লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। জামায়াত-বিএনপির পৃষ্টপোষকতাকারী আ’লীগের বর্তমান বিতর্কিত নেতৃত্ব দলকে ধ্বংস করতে হটকারী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের তৃনমুল ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার সাথে আছে। অথর্ব ও নিস্ক্রিয় কমিটির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আমি গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আযম লেলিন এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও ইউনিয়ন আ’লীগের বিপুল সংখ্যক নেতা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমি আ’লীগের নীতি আদর্শের প্রতি সদা অবিচল থেকে দলকে সুসংগঠিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জামায়াত-বিএনপির লেজুড়বৃত্তিকারী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সম্পাদক অনেক আগে থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। উক্ত আসনের বর্তমান সাংসদ এইচ এম গোলাম রেজা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আমিসহ অন্যান্য ত্যাগী নেতাদের নামে অসংখ্য মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তার পরও অন্যায়ের কাছে আমি মাথা নত করিনি। এই অশুভ শক্তির সাথে সম্প্রতি যোগ হয়েছে সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দৈনিক পত্রদূত সম্পাদক হত্যা মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামী খলিলুল্লাহ ঝড়ু।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ৮ বছরের মধ্যে উপজেলা আ’লীগের কোন সম্মেলন হয়নি। এই সময়ের মধ্যে কোন ইউনিয়নে সাংগঠনিক সভাও হয়নি। যারা উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর তাদের অনেকের বৈধতা নেই। বিধিমোতাবেক তারা কাউন্সিলর হতে না পারলেও তাদেরকে রাখা হয়েছে পকেট কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে। আমি উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছি। আগামীতে আমি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী। জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা। আমি তাদের শ্রদ্ধাভরে সম্মান করি। শ্যামনগর মুক্ত দিবসে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে আমি লাঞ্চিত না করলেও ষড়যন্ত্রকারীরা সেই ইস্যুতে আমার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু করলেও ঘটনার সত্যতা না থাকায় তারা হালে পানি পায়নি।
আমার বিপরীতে আগামী কাউন্সিলে তারা তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই মঙ্গলবার উপজেলা কমিটির জরুরী মিটিং আহবান করে আমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ ওই সভায় দলীয় গঠনতন্ত্র অনুসরন করা হয়নি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারন সভার দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থনে বহিস্কার করার সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে শো-কজ করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে পরিশেষে তিনি সাধারন নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার দৃড় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সংবাদ সম্মেলনে এসময় শ্যামনগর উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.তপন কুমার দাস, নুরনগর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি অসীম মৃধা, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এড.শোকর আলী, পদ্মপুকুর ইউনিয়ন আ’লীগের আহবায়ক এড.এসএম আতাউর রহমান, কৈখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।