এম. বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরা ঃ শিক্ষকের আদর কেড়ে নিয়েছে ছাত্রীর হাসি। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ধুলিহর সরকারি প্রাইমারি স্কুলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকার পাঁচ শতাধিক অভিভাবক বিক্ষোভ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্কিুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ওরফে খোকা মাস্টার পালিয়েছে রক্ষা পেয়েছেন। পুলিশ ও এলাবাসী সূত্রে প্রকাশ, বুধবার বেলা ১১টার দিকে ধুলিহর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে নির্জন কক্ষে ডেকে নিয়ে আদর করেন। শিক্ষকের আপত্তিকর আদরে চিৎকার দেয় ওই ছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে, শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করেছেন। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে স্কুল ক্যাম্পাসে জড়ো হয় পাঁচ শতাধিক অভিভাবক। অভিভাবকরা এসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্কুলের সভাপতি শুকুর আলী সুকৌশলে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন বলে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানান। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল চন্দ্র কর্মকার ঘটনা স্থলে পৌছে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির নিশ্চয়তা দেন। তাতেও অভিভাবকরা ক্ষ্যান্ত হয়নি। শেষ পর্যন্ত সদর থানা উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে পৌছে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হয়। এলাকাবাসী জানায়, গত বছর ও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। ৫০ হাজার টাকা খরচ করে সে যাত্রায় রেহায় পায় শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। এবারও নাকি ৮০ হাজার টাকা নিয়ে একটি মহল বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সদর থানার এস আই আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনা শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ছাত্রী শিশু (দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে) হওয়ায় তার কাছে বিস্তারিত শুনতে পারিনি। এটা নিজের কাছেও খারাপ লাগছিল। তবে মেয়ের পিতা ও কাকার কাছে শুনে থানায় লিখিত এজাহার দিতে বলেছি। তারা এজাহার দিলে ব্যবস্থা নেব।