পাইকগাছা (খুলনা)প্রতিনিধিঃ
সারা দেশব্যাপী জামায়েত ইসলামীর ডাকা গতকালকের সকাল সন্ধ্যা হরতালে পাইকগাছায় জনজীবনে তেমন কোন প্রভাব না পড়লেও হরতাল সমর্থকরা একটি পিক আপ ভাংচুর করেছে। প্রতিদিনের ন্যায় সকাল থেকে দোকান পাট খোলা থাকলেও দুরপালার বাস চলাচল করেনি। পৌর সদরে কোথায়ও হরতাল সমার্থনকারীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তবে নেতাকর্মীরা উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার দুরে প্রধান সড়কে (সাঈদের মোড়) টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। উপজেলার জিরো পয়েন্ট, বাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান সমূহে পুলিশ মোতায়েন ছিল লক্ষণীয়। অফিস,আদালত, ব্যাংক, বীমা,স্কুল কলেজের কাজকর্ম ছিল স্বাভাবিক। দুপুর ১টার পর থেকে দূরপালার কিছু কিছু বাস চলাচল শুরু করে। বেলা দেড়টার দিকে কপিলমুনির সুমি ফিসের খুলনা মেট্রো-ন-১১০০১২ নং একটি পিকআপ উপজেলা সদরে চিংড়ির পোনা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় সাঈদের মিল নামক স্থানে পৌছালে পিকেটাররা পিকআপটির সামনের গস্নাসসহ ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে।
সূত্র মতে, সোমবার দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করার প্রস্তুতি নিলে পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে জামায়াতের কর্মকান্ড ঠেকাতে দুপুরের আগে থেকে উপজেলা সদরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ সদরে প্রবেশ পথ জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে অপরিচিত লোকদেরকে ব্যাপক তল্লাশী করেন। এ সময় অনেক সাংবাদিকরা বিড়ম্বনার শিকার হন এবং সকল প্রকার যানবাহন প্রধান সড়ক দিয়ে প্রবেশ বন্ধ করে দেন। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের খবর টের পেয়ে সংগঠনটি নির্ধারিত উপজেলা সদরের কর্মসূচী প্রত্যাহার করে খন্ড খন্ডভাবে কপিলমুনি, গদাইপুর, সোলাদানা, চাঁদখালী, রাড়ুলীসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে মিছিল সমাবেশ করে। এ বিষয়ে সংগঠনের উপজেলা আমীর মাওঃ কামাল হোসেন বলেন, কর্মসূচী পন্ড করতে উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার ফলে বাধ্য হয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথায়ও তেমন কোন বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর কিংবা কাউকে পুলিশ আটক করেনি।