কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কনফেকশনারীর দোকানে যৌন উত্তেজক পানীয় এবং যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট বিক্রির ধুম পড়েছে। যা সেবন করে সর্বসত্মরের মানুষ ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ তদমত্ম সাপেÿÿ এ দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখা গেছে শিল্প অধ্যোশিত কালিয়াকৈরের সফিপুর, মৌচাক, চান্দরা, ভান্নারা ও চন্দ্রাসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠা কনফেকশনারীর দোকানে বিভিন্ন ছদ্দবেশী কোম্পানীর নাম ব্যবহৃত এনার্জি ড্রিংকস এর নামে উত্তেজক পানীয় যুবসমাজসহ সর্বসত্মরের মানুষের কাছে তা বিক্রি করে চলেছে। এর ফলে ঘটছে অসামাজিক কার্যকলাপ। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আইন প্রয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় যৌন উত্তেজক দ্রব্যাদি সেবন করে প্রতিবন্ধি নারীকেও ধর্ষণ করতে পিছপা হয়নি ওইসব সেবনকারীরা। সেই সাথে নৃশংসভাবে খুন, জবাই করে হত্যা, একের পর এক মোটর সাইকেল ছিনতাই সহ নানা অপরাধকর্ম মাথাচারা দিয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। কনফেকশনারীর দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে দেশীয় তৈরী যৌন উত্তেজক পানীয় ম্যানপাওয়ার, হর্স ফিলিংস, মাশরম্নম, জেনসিং, পাওয়ার হর্স, রম্নচিতা ফিলিংস, ফাস্ট ফিলিংস, তৃপ্তি ফিলিংস, নিশিতা ফিলিংস ও এক্সট্রা পাওয়ার। অপরদিকে ফার্মেসীগুলোতে দেশীয়র পাশাপাশি ভারত থেকে চোরাইপথে আমদানীকৃত যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট যেমন ইটিগ্রা, ভায়াগ্রা, সেনেগ্রা, ভলগা, এনার্জি পস্নাস ও পাওয়ার-৩০ ট্যাবলেট। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মাদকের কেনাবেচাতো রয়েছেই। যৌন উত্তেজক পানীয়, ট্যাবলেট ও মাদক সেবনে মানুষের দৈহিক উত্তেজনা বৃদ্ধি হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হলেও পুলিশের ভুমিকা থাকছে নিরব দর্শকের মত। আর এ কারণেই গত দিনের তুলনায় বেড়ে গেছে ধর্ষন, ছিনতাই, চুরিসহ জবাই করে হত্যার মত জঘণ্য অপরাধ। এতে উপজেলাবাসী তাদের পরিবারবর্গদের নিয়ে হতাশায় পড়েছে।
আর তাই যৌন উত্তেজক দ্রব্যাদি ও মাদক বিক্রেতাদের বিরম্নদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতাসহ পুলিশ কর্তাদের জোড়ালো ভুমিকা থাকা উচিত বলে সর্বসত্মরের মানুষ মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ খাদেমুল ইসলাম জানান, এসব এনার্জি ডিংস গুলো নেশা দ্রব্য থাকায় আমাদের আওতায় পড়ে না। এগুলো মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণের আওতায় পড়েছে। তাই আমার কিছুই করার নেই।