মেহেদী হাসান তুহিন,দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধিঃ দামুড়হুদা উপজেলায় রবি চাষ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম জমিতে আবাদ হয়েছে। গত বছর পেঁয়াজ চাষে ব্যাপক লোকসান হওয়ায় চাষিরা পেঁয়াজ আবাদ বাদ দিয়ে অন্যান্য আবাদ করেছে।
জানা গেছে, চলতি চাষ মরসুমে দামুড়হুদা উপজেলায় পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩৫০ হেক্টর জমিতে, আবাদ হয়েছে মাত্র ১৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছর পেঁয়াজের বাজার দর না থাকায় চাষিরা বিঘাপ্রতি ৩০-৪০ হাজার টাকা লোকসান গুণেছে। অনেক চাষীয় ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। গত ৫/৬ বছর ধরে উপজেলার সীমান্তবর্তী হুদাপাড়া, হরিরামপুর, শিবনগর, জাহাজপোতা, কুতুবপুর, মুন্সিপুরসহ আশপাশ গ্রামের চাষিরা ভারতীয় সুখসাগর ও বাংলাদেশি তাহেরপুরী জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে আসছে। প্রতি বছর লাভের মুখ দেখলেও গত বছর ব্যাপক লোকসান হয়েছে চাষিদের। চাষিরা এবছরও পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাবে না বলে অন্যান্য আবাদ করেছে। চন্দ্রবাস গ্রামের আব্দুস সালাম জানান, গত বছর ২ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছিলো। তার ২ বিঘা জমিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে। তিনি এ বছর ১ বিঘাও আবাদ করেনি। কুতুবপুর গ্রামের চাষি শফি উদ্দীন জানান, গত বছর ৩ বিঘা জমিতে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ আবাদ করেছিলো তারও বিঘা প্রতি ২০-৩০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছিলো। এ বছর লাভের আশায় ২ বিঘা আবাদ করেছে। চাষিরা ইতোমধ্যেই পেঁয়াজের পরিচর্চা শুরু করেছে। ভালো ফলন পেতে জমিতে সেচ, সার দেয়া অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান বাজারমূল্য ভালো থাকায় পেঁয়াজের ভালো দাম পাবে বলে আশা করছে চাষিরা।দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, দামুড়হুদা উপজেলার মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। চাষিরা লাভের সীমান্তবর্তী এলাকার চাষিরা এ চাষ করে ভালো ফলন পায়। দামও ভালো। কিন্তু গত বছর বাজার কম থাকায় চাষিদের লোকসান হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ার জন্য চাষিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।