গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ হাইস্কুল মাঠে আওয়ামী লীগ ঘোড়াঘাট থানা শাখার ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল হট্টগোলের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কাউন্সিলের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইসলাম চৌধুরী।এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এম পি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক এমপি এড. আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি এড,আব্দুস সালাম আমান, যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলাম লাল, আলতাফুজ্জামান মিতা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাইকেল ও কামরুল হুদা, জেলা যুব লীগের সভাপতি এড. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান শিবলি প্রমুখ। সম্মেলনের প্রথম পর্বে সভাপতিত্ব করেন ঘোড়াঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জাল হোসেন প্রধান। এদিকে দিকে ঘোড়াঘাট থানা কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপ রাণীগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে মন্ত্রীসহ জেলা নেতৃবৃন্দের পথরোধ করেন। তারা দাবি তোলেন, গত ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কাউন্সিলগুলোতে জামায়াত, বিএনপি ও শিবির লোকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম বাদ দিয়ে থানা কাউন্সিলর করা হয়েছে। জেলা নেতৃবৃন্দ ও প্রতিমন্ত্রী এই দাবির প্রেক্ষিতে জানান, যখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় তখন এধরনের দাবী করা হয়নি কেন?। ফলে যথানিয়মে ওই সব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর রয়েছে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের দাবীর প্রেক্ষিতে জেলা কমিটি প্রতিপক্ষ দলের চারজনের নাম এই নির্বাচনে অন্তর্ভুক্ত করেন। এরপর প্রতিমন্ত্রী পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। দ্বিতীয় পর্বে প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভাপতির পদে প্রার্থী ঘোষণা দিলে দুই জন প্রার্থী নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। তারা হলেন, সাবেক সভাপতি মোফাজ্জাল হোসেন প্রধান ও কাজী মাকসুদুর রহমান লাবু সাধারণ সম্পাদক পদের ঘোষণা আসলে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাফে খন্দকার সাহানশার প্রস্তাব ও সমর্থন আসে। তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় জেলঅ নেতৃবৃন্দ তাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নাম ঘোষণঅ করেন। মোফাজ্জাল হোসেন প্রধান ৮৬ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।