কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি \
নিজের অপকর্ম ঢাকতে অন্যের ঘাড়ে কলঙ্কের বোঝা চাপাতে উঠেপড়ে লেগেছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের এলাহী বক্সের ছেলে শামছুর রহমান। জানা যায়, তিনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় নতুন করে হাকিমপুর কলেজের চাকরি নিয়েছিলেন। একইসাথে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করার কারণে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিক্ষক শামছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানায় এবং তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। উক্ত বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী কাগজ কলমে রয়েছে। শিক্ষক আছে চার জন। আর প্রধান শিক্ষক শামছুর রহমান সহকারী শিক্ষক আঃ বারিক, জাহিদুল ইসলাম ও মনোয়ারা খাতুন ইতিপূর্বে মনোয়ারা খাতুনের সাথে ছিল শামছুল মাষ্টারের গভীর ভালোবাসা। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্কেও লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মনোয়ারা খাতুন বিয়ের জন্য তাকে চাপ সৃষ্টি করলে সুচতুর শামছুর রহমান তাকে প্রত্যাখান করে। এই বিষয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে শুরু হয় চরম উত্তেজনা এবং সমাজে শালিস মিমাংসা হয়। শালিসে কোন সিদ্ধান্ত না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত কোটচাঁদপুর থানায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ে করা হয়। পরবর্তীতে সে আবারও সময়ে অসময়ে মনোয়ারা খাতুনকে উত্যক্ত করে। মনোয়ারা রাজি না হওয়ায় মনের ভিতর দানাবাধে প্রতিহিংসার জালা। শেষ পর্যন্ত জাহিদুল ইসলামকে ফাসাতে ফন্দি আটে শামছুল মাষ্টার। এক পর্যায়ে নিজ এলাকার অভিভাবক ও ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ম্যানেজ করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে নিরীহ শিক্ষক জাহিদুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা কলঙ্ক রটায়। যা এলাকা ঘুরে জানা গেছে। এমতবস্থায় শামছুল ইসলাম সুযোগ বুঝে গত ১৬ এপ্রিল নিজস্ব ব্যক্তি গোলাম মোস্তফাকে দিয়ে নিজ পাড়ায় ছাত্র/ছাত্রী অভিভাবকদের ভুল বুঝিয়ে শামছুর রহমান নাটক সাজিয়ে শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ও মনোয়ারা খাতুনের অপ্রীতিকর ঘটনা বলে এলাকায়। প্রচার করে এবং শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি নজর নেওয়া একান্ত জরুরী বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।