দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ছেলে সৌমেন সেনগুপ্তকে, তাদের অঢেল সম্পদের উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুদকের কমিশনার মুহাম্মদ সাহাবুদ্দিন আজ (রোববার) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সৌমেন সেনগুপ্তকে আগামী ২৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় কমিশনে হাজির হওয়ার জন্য আজ দুদকের পক্ষ থেকে চিঠি দেয়া হয়েছে।
কিছুদিন আগে ব্যক্তিগত সহকারীর গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার পর রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তারপর থেকেই সুরঞ্জিতের ছেলের সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখার দাবি ওঠে। সম্প্রতি সৌমেন সেনগুপ্ত টেলিকম খাতে ৫ কোটি টাকা জামানত দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বর্তমানে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন। মন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিতে চাইলেও প্রধানমন্ত্রী তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় মন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা বা না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তার বলছেন সংবিধানের ৫৮ অনুচ্ছেদের ১ এর ক উপধারা মতে মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পেশ করেন। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কালক্ষেপণ করার কোনো এখতিয়ার নেই। এর আগে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।