হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখা লাশ উদ্ধারের পর ময়না তদমেত্মর রির্পোট না পওয়ার অজুহাতে মহেশপুর থানার পুলিশ কোন হত্যা মামলা নেয়নি।তদমত্ম করে মামলা রেকর্ড করার কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্বেও পুলিশ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে এরাকাবাসী অভিযোগ করেছে।
আব্দুর রহমান (১৮) হত্যা কান্ডকে ঘিরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও পুলিশ আজ পর্যমত্ম কোন আসামী আটকের চেষ্টাও করেনি। এদিকে আব্দুর রহমান হত্যা কান্ডের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তারা বর্তমানে একে একে সবাই এলাকা ছেরে পালিয়ে গেছে।এ দিকে হত্যা কান্ডের ২৪ দিন পার হলেও আসামী না ধরার কারনে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ এলাকাবাসীর তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের চারদিন পর মানিকদিহি গ্রামের একটি খালের ধারে ধানক্ষেত থেকে আব্দুররহমানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
হত্যাকান্ডের পরের দিন থেকেই পান্তাপাড়া ইউনিয়নের হুশোরখালী গ্রামের মোতালেব আলী, পুত্র ছিদ্দিক, আলী আজগর, আকবার হোসেন বাবু, মামা জহুরুল ইসলাম ও চাচা মান্নান সহ বেশ কয়েকজন আব্দুর রহমানের লাশ উদ্ধরের পর হতে সবাই এলাকা ছেরে পালিয়ে যায় বলে নিহত আব্দুর রহমানের মা সামিরন বেগম ও ভাবি আসমা খাতুন জানান।
নিহত আব্দুর রহমানের ভাবি আসমা খাতুন জানান, আমার দেবর আব্দুর রহমান ৮০ হাজার টাকা চুরির ঘটনা এলাকাকায় ফাঁস করে দেবে বললে শুরু হয় আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকের মধ্যে বিরোধ। আর এবিরোধকে কেন্দ্র করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরো জানান,২৮ মার্চ বুধবার রাতে আব্দুর রহমান বাড়ী থেকে বের হয়ে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার থেকেই আত্মীয় বাড়ী সহ বিভিন্ন স্থানে আব্দুর রহমানকে খোজা খুজি শুরু হয় ।
পরে গত (৩১মার্চ) শনিবার দুপুরে বাড়ী থেকে ৩শ’ গজ দূরে মানিক দিহির খাল পাড়ের একটি ধান ক্ষেতের মধ্যে থেকে আব্দুর রহমানের পচাগলা লাশ পুলিশ উদ্ধার করে।
শুরু হয় এলাকায় নানান গুঞ্জন । লাশ উদ্ধারের একদিন পর থেকেই এলাকার কয়েকজন যুবক এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। কি কারণে তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেল এটাই এলাকাবাসীর প্রশ্ন।
প্রতিবেশি আবুল কাশেম জানান,নিহত আব্দুর রহমানের পরিবারটা এতটাই গরীব যে এলাকার লোকের সাহায্য ছাড়া চলা চলের কোন পথ নেই। এমন কি আব্দুর রহমারেন দাফনের সময় কাফনের কাপড় টাও টাকা তুলে ক্রয় করা হয়।
তিনি আরও জানান, মামলা খরজের জন্য এলাকা থেকে টাকা তোলা চলছে।
পান্তাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন জানান, আব্দুর রহমানের হত্যা কান্ডের ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনে। পুলিশও আসামী ধরার চেষ্টা করছে না।
নিহত আব্দুর রহমানের মা সামিরন বেগম জানান, কি কারণে আমার পুত্র রহমানকে হত্যা করা হল। আমি হত্যাকারীদের সাসিত্ম চাই।
মামলার তদমত্মকারী কর্মকর্তা এস,আই আব্দুর রশীদ জানান, লাশের ময়না তদমত্ম রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, ময়না তদমেত্মর জন্য কেমিকেল টেষ্টে পাঠিয়েছে ডাক্তাররা।
রিপোট টি হাতে পাওয়ার পরই সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি মানুষকে হত্যা করে মাটিতে পুতে ফেলার পরও পুলিশ ময়না তদমেত্মর রিপোর্ট না পাওয়ার অজুহাতে হত্যা মামলা নেয়নি।এমনকি কোর্টের আদেশে তদমত্ম করে মামলা রেকর্ডের নির্দেশকেও মহেশপুর থানার পুলিশ তোয়াক্কা করছেনা।বিষয়টি সচেতন মহলওেক ভাবিয়ে তুলেছে।