অসীম মোদক, মহেশপুর(ঝিনাইদহ)ঃ
খাদ্য শষ্য ভান্ডার নামে খ্যাত ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এবার ইরি-বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হলেও হাসি নেই কৃষকের মুখে। অন্যদিকে অধিক মূল্যে সেচের পানি কিনে ধান চাষ করে খরচ টুকুও না ওটাই কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। যে সমসত্ম চাষী ঋনের টাকায় ধান চাষ করেছেন,তাদের মূখের হাসি এখন কান্নায় পরিনত হয়েছে।
এবার মহেশপুর উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধান চাষের লÿ্যমাত্রা ধরা ছিল ২১ হাজার ৭০০ একর ।
মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা বুক ভরা হতশা নিয়ে তাদের জমিতে আবাদকৃত ধান কেটে বাড়ী নেওয়ার পর মাড়াই করে ঘরে তুলতে শুরু করেছে।
মহেশপুর পৌর এলাকার বগা গ্রামের আব্দুর রহমান জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছেন। পানি না হওয়ার কারনে অন্যের কাছ থেকে পানি কিনে চাষ করতে হয়েছে। ধান বিক্রির পরও তার ৬ হাজার টাকা লোকসান হবে।
তিনি আরও জানান, গত ২০/২২ দিন পুর্বে ঝড়ো হাওয়ার কারনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মাঠিলা গ্রামের মহিউদ্দিন,আক্কস আলী জানান, তারা ৫ বিঘা করে জমিতে এবার ধান চাষ করেছেন। প্রথম দিকে জমিতে ধান গাছ গুলোতে ফুলও এসেছিলো ভালো কিন্তু হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়ায় সব আসা নিরাসা করে দিয়ে গেছে। যার কারনে এবার ধান বিক্রি করেও খরচ টুকুও উঠবেনা।
তারা আরও জানান, তেলের দাম বেশী হওয়ার কারণে যারা পানি কিনে ধান চাষ করে তাদের খরচ টুকুও উঠবে না।
জিন্নাহনগর গ্রামের সাবেক মেম্বর রেজাউল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ধানের চাষ ও ফলন ভাল হলেও ঝড়ের কারণে তা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক জমিতে বিঘা প্রতি ৫ মণ করেও ধান উঠবে না।
যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, ঝড়ের কারণে ধানের গাছগুলো মাটিতে শুয়ে পড়া ও ধান গাছের ফুল পড়ে যাওয়ার কারণে এবার আমার এলাকার ফসলের অবস্থা খুবই খারাপ।
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিরেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ফসল ভাল হয়েছে। তবে কিছুদিন পুর্বে ঝড়ো হাওয়ার কারণে অল্প সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে সব মিলিয়ে এবার বোরো আবাদ খুবই ভাল হয়েছে। আমাদের যে লক্ষ্য মাত্রা ছিল তার থেকে প্রায় তিনশ হেক্টর জমিতে আবাদ বেশী হয়েছে। সে তুলনায় ফলনও ভাল।