আবদুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ
মৌলভীবাজার জেলাধীন রাজনগর থানার এস,আই কাদিরের বিরুদ্ধে অনধিকার বসতঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর সহ লুটপাটের অভিযোগ করেছেন একজন দিনমজুরের স্ত্রী।স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগে রাজনগর উপজেলার বেতাহুঞ্জা গ্রামের দিনমজুর ছাদ্দেক মিয়ার স্ত্রী পুতুল বেগম জানান,৮/১০ দিন পুর্বে রাজনগর থানার এস,আই বাবর ২ জন পুলিশ নিয়ে তাদের বাড়ীতে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গাঁজা বিক্রির মিথ্যে অভিযোগ এনে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবী করেন।দাবীকৃত টাকা ৪/৫ দিনের মধ্যে থানায় নিয়ে যাবার কথা বলে পুলিশ চলে যায়।তা না হলে ছাদ্দেক মিয়াকে গাঁজা বিক্রির মামলায় গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠানোর ভয় দেখান দারোগা বাবর।পুতুল বেগম জানান, গাঁজা বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা বলে তারা টাকা নিয়ে থানায় যায়নি,বা পুলিশের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ও করেনি। গত ১৭ এপ্রিল বেলা ২ ঘটিকায় হটাৎ করে রাজনগর থানার এস,আই কাদির,কনষ্ঠেবল মিজান{ক্যাশিয়ার}সহ ৩ জন পুলিশ তাদের বসত ঘরে ঢুকে ছাদ্দেক মিয়াকে খোঁজাখুঁজি করে।এ সময় পুতুল বেগম ছিলেন পাশের বাড়ীতে।দিনমজুর ছাদ্দেক মিয়া পুলিশের ভয়ে ঘরের চাদ থেকে লাফ দিয়ে নদীতে পড়ে পালিয়ে যান।তখন এস,আই কাদির ফোর্স সহ তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে,ঘরে রক্ষিত বিভিন্ন মালামাল তছনছ সহ আলমারীর তালা ভেঙ্গে রক্ষিত ১৫ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।পুতুল বেগম অভিযোগ করে বলেন,পুলিশ প্রতিবেশী কোন লোক, চৌকিদার, বা এলাকার কোন মেম্বার কে নিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে ঘর চার্জ করেনাই। গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে প্রতিবেশী লোকজনকে ও দূরে চলে যেতে বলে।এবং ঘরের মালামাল তছনছ,ভাংচুর করে কোন প্রকার অবৈধ মাল না পেয়ে পুলিশ চলে যাবার পর ঘরে এসে দেখেন ঘরের যাবতীয় মালামাল তছনছ সহ ভাঙ্গাচুরা,আলমারীর তালা ভাঙ্গা ভিতরে টাকা নাই,বিছানার উপর ফেলে রাখা মোবাইল ফোন নাই।পরে তিনি ঘটনাটি স্থানীয় কমর উদ্দীন মেম্বার,মইন উদ্দীন মেম্বারকে জানালে তারা বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানানোর পরামর্শ দেন।পুলিশ সুপারের কাছে না গিয়ে তিনি ফোন করেন এস,আই কাদিরের
কাছে।এস,আই কাদির তাকে বিকেলবেলা থানায় যেতে বলে,এবং টাকার কথা জিজ্ঞাস করলে এস,আই কাদির থাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখান।এবং ষড়যন্ত্র মুলকভাবে বালাগঞ্জ উপজেলার ২ জন আসামীর সাথে একটি মাদকদ্রব্য মামলায় তাদেরকে আসামী করেন।পুলিশী গ্রেপ্তারের ভয়ে তিনি পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে পুলিশের এসব অন্যায়,অত্যাচারের লিখিত বিচার চাইতে পারছেননা।ফলে তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নজরে আনতে সাংবাদিকদের শরনাপন্ন হয়েছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এস,আই কাদিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে,তিনি অভিযোগটি বানোয়াট বলে দাবী করেন।রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম নেওয়াজ জানান, ছাদ্দেক মিয়ার বাড়ীতে দীর্ঘদিন যাবৎ গাঁজা বিক্রি হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠায়।এ মামলায় ছাদ্দেক মিয়া সহ তার স্ত্রী পুতুল ও আসামী রয়েছে।তারা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।তিনিও পুতুল বেগমের অভিযোগটি বানোয়াট বলে দাবী করেন।এদিকে ছাদ্দেক মিয়া সহ তার স্ত্রী সাংবাদিকদের জানান,পুলিশের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ কতৃক নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই তা সত্য বলে প্রমানিত হবে।তারা বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।