তারেক এম তারিফুজ্জামান,ঢাকা ডেস্ক, ১৮ এপ্রিল:
সমুদ্রসীমা নিয়ে মিয়ানমারের সাথে আইনি লড়াইয়ে জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দিয়েছে যুব সংগ্রাম পরিষদ। আজ বিকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। যুবলীগ, যুবমৈত্রী, জাতীয় যুবঐক্য, যুবমহিলা লীগ নিয়ে গঠিত যুব সংগ্রাম পরিষদ এ আয়োজন করে। বিকাল তিনটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌছান বেলা সোয়া চার টায়। এরপর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম সমুদ্র জয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন। মানপত্রটি প্রধানমন্ত্রী হাতে তুলে দেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তৃতা দিয়ে শুরম্ন হয় অনুষ্ঠান। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমু, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, ডাঃ দীপু মনি প্রমুখ। শেখ হাসিনা পৌছার পর গণসংগীত পরিবেশন সাবিনা ইয়াসমিন ও এন্ডুকিশোর। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করেন আগামীতে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক রেখে ভারতের সাথেআইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। তিনি বলেন মায়ানমারের সাথে সমুদ্র বিজয় আমার একার নয় এটা সমগ্র দেশবাসীর। বাংলার ১৬ কোটি মানুষের সাথে আমিও গর্বিত।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়মত্মীতে এ দেশ হবে দারিদ্রমুক্ত, সাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে মায়ানমার-ভারতের কাছ থেকে সমুদ্রে আমাদের ন্যায্য অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন কিন্তু তাকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি সে অধিকার রক্ষায় কোন উদ্যোগই নেয়নি।