কোনো যৌথ ঘোষণা ছাড়াই আমেরিকান শীর্ষ সম্মেলন শেষ হয়েছে। আগামী সম্মেলনে কিউবাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মতভিন্নতা দেখা দেয়ায় আমেরিকান নেতারা কোনো যৌথ ঘোষণার বিষয়ে একমত হতে ব্যর্থ হন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার প্রচণ্ড বিরোধিতার মুখে এ অবস্থা তৈরি হয়। ২০০৯ সালের ত্রিনিদাদ সম্মেলনেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছিল। সে সম্মেলনেও কোনো যৌথ ঘোষণা প্রকাশ করা যায়নি। তবে, আমেরিকা অঞ্চলের বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক সরকার এবার কিউবার অন্তর্ভুক্তি চেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে আমেরিকান শীর্ষ সম্মেলনে এ পর্যন্ত কিউবা কখনই যোগ দিতে পারেনি।
শীর্ষ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবা প্রশ্নে তার অবস্থানে অটল থেকে বক্তব্য রাখেন। তবে, তিনি তার গোয়েন্দা সদস্যদের যৌন কেলেংকারির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানে জর্জরিত হন। এ ছাড়া, মাদকবিরোধী অভিযানের বিষয়ে ওয়াশিংটনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও নানা প্রশ্নের মুখে পড়েন ওবামা। যুক্তরাষ্ট্র যে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মাদক ক্রেতা সাংবাদিকরা তাও উত্থাপন করেন।
এদিকে, ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে তার প্রতি সমর্থন দিতে আর্জেন্টিনা যে আহ্বান জানিয়েছিল সে বিষয়ে স্বাগতিক কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্টোস বলেছেন, বেশিরভাগ দেশ শান্তিপূর্ণভাবে এ সমস্যার সমাধান চেয়েছে। তবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, ওয়াশিংটন এ ইস্যুতে নিরপেক্ষ থাকবে।
কলম্বিয়ার উপকূলীয় শহর কারতাগেনায় দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৩টি দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।#