আবদুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ রাজনগরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের জনবল ও শিক্ষক স্বল্পতা এবং নিযমিত স্কুল পরিদর্শন না করায ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। সহকারী শিক্ষা কমর্র্কতার অভাবে চলছে শিক্ষা অফিসটি। বিদ্যালয শুরুর সময সকাল ৯.৩০ মিনিট হলেও অনেক স্কুলের শিক্ষকদের ১০টার পর বিদ্যালযযে যেতে দেখা যায। সেই সাথে শিশুদের নিযমিত স্কুলে আসতেও আকর্ষনীয পাঠদান কার্যক্রম নেই।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায, উপজেলার ৮টি ইউনিযনে ১৩৫টি প্রাইমারী স্কুল রযেছে । এর মধ্যে সরকারী প্রাইমারী স্কুলের সংখ্যা ১০২ টি ও রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয ৩৩ টি। সর্বমোট ৪২টি শিক্ষক পদ শূন্য রযেছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ ১৯টি এবং সহকারী শিক্ষকের ২৩টি পদ শূন্য রযেছে । শিক্ষা অফিসে রযেছে জনবল সংকট। উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ৬টি পদের বিপরীতে আছের ১জন, শূন্যপদ ৫টি। অফিস সহকারী পদ ৩টি, শূন্য পদ একটি। এমএলএসএসের ১টি পদও শূন্য। সরকারী নিযম অনুযাযী ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ৪০ঃ১ শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে দেখাযায ৪৮ঃ১ করে।। গত বছরের হিসাব অনুযাযী স্কুলে গমন উপযোগী শিশুর সংখ্যা ৩৩ হাজার ৪৪১জন। এর মধ্যে ভর্তি দেখানো হযছে ৩৩ হাজার ৩৭৭জন। এই হিসাব অনুযাযী ঝরে পডা শিশুর সংখ্যা ৪.৫১ভাগ।কযেকটি বিদ্যালযযে ৩ বছর, কোনটিতে ২ বছর আবার কোনটি দেড বছর ধরে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রযেছে। এসব শূন্যপদে সংশ্লিষ্ট সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দাযিত্ব দেযা হযেছে। শিক্ষা অফিসেও জনবল সংকটের কারনে বিদ্যালয গুলোর মনিটরিং কাজ করতে কর্তব্যরতদের অতিরিক্ত দাযিত্ব পালন করতে হচ্ছে। এর ফলে উপজেলার হাওর অঞ্চলসহ প্রত্যন্ত গ্রামের খুদে শিক্ষার্থীদের লেখাপডা মারাত্বক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ঐ সব বিদ্যালয গূলোতে শূন্যপদ পুরনের জন্য মন্ত্রনালযে চিঠি পাঠানোর পরও এব্যাপারে কোন অগ্রগতি হযনি। এদিকে প্রধান শিক্ষকের দাযত্বি পালন করতে গিযে সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা সময মত ক্লাস নিতে পারছেন না। ফলে শিশুদের পাঠদান ব্যহত হচ্ছে। অন্যদিকে দুর্গম অঞ্চলে বিদ্যালয গুলোতে অতিরিক্ত দাযিত্ব পারন করতে গিযে অনেক শিক্ষকই সময মত স্কুলে না আসায এসব বিদ্যালযে অধ্যযনরত শিশুরা ক্রমেই বিদ্যালয বিমুখ হচ্ছে।প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকতা আব্দুল জলিল তালুকদার নিযমিত স্কুল পরিদর্শন সর্ম্পকে বলেন, আমি নিযমিত স্কুল পরিদর্শন করি। তবে অফিসে জনবল সংকট থাকায সমস্যা হচ্ছে। আর নতুন শিক্ষক নিযোগ হলে শিক্ষক সংকট কমবে।