পুরানো সব জঞ্জাল ভুলে আবার আমরা উঠবো জেগে, হবে হবে জয়, ভয় নাই ওরে সামনে তোর নতুন সূর্য হাসে। শুভ নববর্ষ ১৪১৯। খুব সকালে রমনা বটমুলে ছায়ানটের শিল্পীদের সংগীত পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শুরু হয় বাঙ্গালীর প্রানের উৎসব।
সূর্য উদিত হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। সকাল হতে মানুষ আসতে থাকে রমনার দিকে বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখকে স্বাগত জানাতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত আয়োজন মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে শুধু ছাত্ররাই নয়, এসেছে দুর দুরামত্ম থেকে আসা হাজারো ছোট বড় শিশুরা ও তাদের অভিভাবকরা। সাম্পান আর ভয়ঙ্কর আকৃতির দানব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা অনুষদের সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় উঠে এসেছে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অধিকার প্রতিষ্ঠার সাফল্য আর ৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রত শেষ করার আহবান।
সকাল নয়টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রার শুরম্নতে ছিল রম্নপকথার সেই নাওয়ের আদলে তৈরী ৪০ ফুট দীর্ঘ সাম্পান। এটি ছিল আমর্ত্মজাতিক আদালতে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিজয়ের প্রতীক। আর ভয়ঙ্কর চেহারার দানবটি যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার তাড়াতাড়ি করার আহবান। আসংখ্য কাটা দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল দানবটির শরীর।
প্রতি বছরই বিভিন্ন শেস্নাগান নিয়ে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিÿাথীরাই নয়, রাজধানীবাসীর সঙ্গে এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে দুর-দুরামত্ম থেকে যোগ দিতে অনেকে এসেছে। নানান রংয়ের মুখোস-ফানুস, বর্ণিল পোশাকে সেজে হাজারো মানুষ অংশ নেয় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে। শিশু-কিশোর, তরম্নণ-তরম্নণীসহ সব বয়সের মানুষ হাতে ঢাক-ঢোল, তবলা, বাদ্রযন্ত্র নিয়ে অংশ নেয় এই শোভাযাত্রায়। মঙ্গল শোভাযাত্রাটি চারম্নকলার সামনে হতে শুরু হয়ে হোটেল রুপসী বাংলা হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলটি জন সমুদ্রে পরিণত হয়। সাথে সাথে রমনার মুলে চলে পামত্মা ইলিশ খাওয়ার ধুম। দেশীয় পিঠা পুলির আসর।