একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিয়ে প্রশ্ন তোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেছেন, কেউ আদালত নিয়ে প্রশ্ন করার চেষ্টা করবেন না, যদি করেন, ট্রাইব্যুনালের আইনেই সাজা দেওয়ার বিধান আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের ৪১ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র এবং বাংলাদেশের সংবিধান’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল থেকে ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করা এবং প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তাঁরা ভ্রান্ত ধারণার মধ্যে আছে। এটা আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল নয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অর্থাত্ এ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধ—হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, জোর করে ধর্মান্তরিত করা, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করা হবে। তিনি বলেন, এই বিচার হবে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে। এ আইন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। এ আইনে কোনো ঘাটতি বা স্বল্পতা নেই।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, যুদ্ধাবস্থার প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার এগিয়ে নিতে হবে। এ নিয়ে কালক্ষেপণের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। তিনি আবুল কালাম আযাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, ‘সর্ষে ভূত থাকলে তাড়াবেন কী করে?’ তিনি বলেন, ‘কোন সন্ত্রাসী কোন দোকানে চা খায়, কোথায় দাঁড়ি কামায়, সে খবরও পুলিশ ও গোয়েন্দারা রাখেন, তাহলে রাজাকার বাচ্চু কীভাবে পালায়?’
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা কামাল লোহানীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আমীর-উল ইসলাম, অধ্যাপক অজয় রায়, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, তুরিন আফরোজ প্রমুখ।