বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে অবশেষে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করলো বাংলাদেশ। মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের হোটেল হিলটনে এ সমঝোতা সই করে দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া মালয়েশিয়ার অন্যতম ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার অনলাইনেও এ খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই খবরে বলা হয়, বাংলাদেশে সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়া ৯ বিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিতের একটি চুক্তি করেছে।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, বাংলাদেশের পক্ষে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং মালয়েশিয়ার পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত সামি ভেলু এমওইউ স্বাক্ষর করেন। তিনি আরো জানান, মালয়েশিয়ার হিলটন হোটেলে এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।
পদ্মা সেতু বিষয়ে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইয়ের উদ্দেশে রোববার রাতে যোগাযোগমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া গেছেন। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ইকবাল মাহমুদ, সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ও পদ্মা সেতু প্রকল্পের পরিচালক শফিকুল ইসলাম।
একই দিন সড়ক ভবনে যোগাযোগমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ১০ এপ্রিল পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই হবে। নির্মাণ, মালিকানা ও হস্তান্তর (বিওওটি) ভিত্তিতে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে মালয়েশিয়া। সেতুর জন্য অর্থ জোগাড় করতে কোনো সমস্যা হবে না বলে মালয়েশিয়া নিশ্চিত করেছে। মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রথমে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রস্তাবিত পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি, জাপানি ঋণদান সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি এবং ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক ঋণ কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।