আবদুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক লোড শেডিং, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে কোন সময় যে আসবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। তাছাড়া গ্রামে গঞ্জে বিদ্যুতের অবস্থা আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। রাতে একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘন্টার পর ঘন্টা তার খোঁজ নেই। দিনের বেলাতেও একই অবস্থা। এতে পরীক্ষার্থীসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বেকায়দায় পড়েছেন। একইভাবে চা-শিল্প অধ্যুষিত এই জেলায় চা-উৎপাদনেও দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা। চৈত্রের প্রচন্ড গরমে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় সাধারন মানুষ ক্ষুদ্ধ। মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগ জানায় জেলায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা। তাই তারা বাধ্য হয়েই লোড শেডিং করেন। মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-পরিচালক ওবায়দুল ইসলাম জানিয়েছেন, মৌলভীবাজার সদর উপজেলাটি হচ্ছে তাদের নিয়ন্ত্রনে। কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ি, কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলাগুলো পল্লী বিদ্যুতের নিয়ন্ত্রনে। বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, পুরো মৌলভীবাজার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হয় সাধারণত ঢাকা থেকেই অনুমোদনের পর। তাদের হাত নেই কোন কিছু করার। জেলায় প্রতিদিন ৬০/৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদা রয়েছে। সেখানে মাত্র ৪০/৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে মৌলভীবাজার। বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি এই জেলায় প্রতিদিন ১৮/ ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বিদ্যুতের ঘাটতি কাঁটাতেই দু‘বারের বেশী তারা লোড শেডিং করছেন না। বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানিয়েছেন, বাস্তবে দিন-রাতে অসংখ্যবার লোড শেডিং হচ্ছে। এমনকি দশ-পনের মিনিট পরপর বিদ্যুৎ যাওয়া আসা করে। তাছাড়া অভিযোগ আছে, লো-ভোল্টেজ ও মুহুর্তের মধ্যে বিদ্যুৎ আসা যাওয়াতে বাড়ি ঘরের মূল্যবান ইলেকট্রনিক্স জিনিস পত্র নষ্ট হচ্ছে। এদিকে মৌলভীবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের উপ- পরিচালক ওবায়দুল ইসলাম জানিয়েছেন, সিলেট-ময়মনসিংহ জোন মিলে সেন্ট্রাল জোন ডিস্টিবিউশন প্রজেক্ট এর কাজ চলছে। এই কাজ সম্পন্ন হলে ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে এই কাজ দু‘বছর ধরে চলবে।