এম.পলাশ শরীফ,মমোড়েলগঞ্জ থেকেঃ
ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষদের গ্রুপিং এর কারণে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুলিশাখালী রফিজ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সুনাম ও ঐতিহ্যের সাথেই চলে আসছিল। এ সময় সভাপতি ছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম হাওলাদার। এরপর থেকে বিদ্যালয়টি চলে গেছে সুবিধাভোগী একটি স্বর্থান্বেষী মহলের কব্জায়। ১৯৯২ সাল থেকে শুরু হয় গ্রুপিং। সভাপতি পদে একই এলাকার করিম তালুকদার ও মালেক তালুকদার লড়াইয়ে নামলে শিক্ষার পরিবেশ ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ে।
সর্বশেষ ম্যানেজিংকমিটি গঠন করা হয় ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল। বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রায়াত রফিজ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মালেক তালুকদার ২৫ এপ্রিল ’১০সাল থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। সে থেকে আরো তীব্র হয় কমিটির সদস্য ও পার্শ্ববর্তী একটি চক্রের সাথে রশি টানাটানি। বিষয়টি সহজে মানতে পারেননি বিদ্যালয়ের দাতা ভোটার আবুল বাসার তালুকদার। এ দ্বন্দের জের ধরে গত ১৮ মার্চ আবুল বাসার ওরফে বাদশা তালুকদার ও তার লোকজন সভাপতি মালেক তালুকদারকে মারপিট করে এবং সভাপতির পদ থেকে সরে যাবার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। নিরুপায় হয়ে মালেক তালুকদার গত ২ এপ্রিল বোর্ড চেয়ারম্যান এর নিকট পদত্যাগ পত্র দাখিল করেন এবং গতকাল সোমবার এ ঘটনার বর্ননা দিয়ে মোড়েলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ এখন বিপর্যস্ত প্রায়। হ্রাস পেয়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। গত ২৪ জুলাই’১১ থেকে এখানে প্রধান শিক্ষকসহ ৩ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
অভ্যান্তরীন কোন্দলের কারণে কয়েক দফা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও শিক্ষক নিয়োগ সম্ভব হয়নি। গোপনে কোন প্রার্থীর নিকট থেকে একাধীক ব্যাক্তি নিয়োগ দেয়ার শর্তে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে এখন বেকায়দায় পড়েছেন। এ নিয়ে এখন বিভিন্ন স্থানে কলহ, তর্ক ও মারমুখী পরিস্থিতি চোখে পড়ছে এবং ঝুলে পড়েছে নিয়োগ কার্য। ঐতিহ্যবাহি এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করায় এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে আশংকাজনক হারে। এক সময় এখানে তিন শতাধীক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে আছে সর্বোচ্চ দেড়শ’ জন। ভূক্তভোগী অভিভবকরা তাদের ছেলে মেয়েদেরকে অন্য বিদ্যালয়ে সরিয়ে নিচ্ছেন। বিদ্যারয়টি রক্ষার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসি।##