এম.পলাশ শরীফ,মোড়েলগঞ্জ থেকে ঃ বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ৩ কৃষকের ৬ একর জমির কলা বাগানের সাড়ে ৭ হাজার কলাগাছ কেটে গোটা বাগান ছাফ করে দিয়েছে। এতে ওই কৃষকদের কমপক্ষে দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘঠিত এ গাছ কাটার ঘটনায় আজ শনিবার বিকেলে বৌলপুর গ্রামের অহেদ শেখের পুত্র গোলাম রসুলকে প্রধান আসামী করে মোরেলগঞ্জ থানায় ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মধুরকাঠি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৌলপুর গ্রামে বলেশ্বর নদীর চর এলাকায় স্থানীয় তবিবুর রহমান হাওলাদার, আব্দুল জববার মোল্লা ও সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পৈত্রিক প্রায় ২০বিঘা জমিতে কলাচাষ করে আসছেন। সম্প্রতি একই এলাকার চিহ্নিত অপরাধী গোলাম রাসুল, মিঠু, মানসুরসহ ১০/১২জনের একটি দল তাদের কাছে ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা পুরোপুরি পরিশোধ না হওয়ায় ঘটনার দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাগানের সাড়ে সাত হাজার গাছের প্রায় সবই কেটে শুইয়ে দেয়। এতে কলা চাষীদের কমপক্ষে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনজন চাষী ধার করে ও সুদে টাকা এনে এ বাগানে সমান হারে মোট ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। আর মাত্র ১৫ দিন থেকে ১মাসের মধ্যে এ বাগান থেকে কলা বিক্রি হবার কথা ছিল। কিন্তু সে আশায় ছাই পড়েছে দূর্বৃত্তদের তান্ডবে।
এলাকার একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থেকে পেশাদার সন্ত্রাসী গোলাম রসুল ও মানসুর একটি শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা রসুল বাহিনী নামে পরিচিত। এ বাহিনীর মদস্য মানসুর(৩০), মিঠু(২৫),মিজান(৩৫), অহেদ শেখ(৫৫) ও মনির মোল্লা (৪২) এর বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধীক মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে মানসুর, মেহেদী ও দুলাল হাওলাদারসহ কয়েকজন তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী বলেও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে। এই রসুল বাহিনীর বিরুদ্ধে ২০০৬সালে বলেশ্বর নদীতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধ, এলাকায় চাঁদাবাজি, মারপিট, শ্লীলতাহানি, লুট ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে।