আব্দুল কাদের, পুড়াপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি :
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বাল্য বিবাহের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা সহ পুড়াপাড়া এলাকার সরকারী অনুমোদিত নির্ধারিত বিবাহ রেজিষ্টারের অফিস ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে। সরকারী আইন অনুযায়ী বাল্য বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। কোন কাজী বা বিবাহ রেজিষ্টার বাল্য বিবাহ রেজিষ্টারের কারনে লাইসেন্স বাতিল সহ শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু এখানে কোন কাজী সরকার প্রনীত আইন মনছেন না। তারা অতি গোপনে অল্প বয়স্ক মেয়ে ১৫/১৮ ও ছেলেদের ২০/২৫ বছর বয়স দেখিয়ে বিবাহ রেজিষ্টার করছে। কন্যাপক্ষ ইউনিয়ন সচিবদের মোটা অঙ্কের টাকা উৎকোচ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্ডে বয়স বৃদ্ধি করে বিবাহ দিচ্ছেন। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলের অশিক্ষিত দরিদ্র, হত দরিদ্র অভিবাবকরা তাদের মেয়েদের ১৩/১৪ বছর হলেই বিবাহ দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আবার অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে অনেক অভিভাবক নানান সমস্যায় পড়েন। এই সব বাল্য বিবাহের পর অনেক যৌতুকে স্বীকার ও শ্বশুড় বাড়ীর নির্যাতরেন স্বীকার হচ্ছে। এই সমস্ত ঘটনায় অনেক মেয়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। সচেতন মহলের ধারণা এই সবের জন্য দায়ী একমাত্র কাজীরা। তারা আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হন এবং কন্যা পক্ষের কাছ থেকে বিভন্ন অযুহাত দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে। বিশেষ করে যেসব মেয়েরা বাল্য বিবাহের স্বীকার পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর বাল্য বিবাহের ঘটনা প্রশাসনকে জানাচ্ছে না। উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বামী পরিত্যাক্তা মেয়ে পুনরায় লেখাপড়া করছে আবার অনেকেই পেটের দায়ে অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ ও গার্মেন্টসের চাকুরী অথবা রাজমিস্ত্রী জোগাল দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এই বিষয়ে সরকারী বেসরকারী ও এন জি ও মধ্যে ব্র্যাক, শিশু নিলয়, গ্রামীণ ব্যাংক আইন সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলেও সামাজিক ব্যাধি বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সচেতন মহল মনে করেন কাজী অফিস গুলোর দিকে সরকার প্রশাসনের নজর দেওয়া প্রয়োজন।