ঝিনাইদহের মহেশপুরে ইরি-বোরো মৌসুমে বাম্পারের ফলন আশা করলেও গত দু’দিনের ঝড়ের কারণে সে আশা নিরাশায় পরিনত হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ দাবী করেছে ক্ষতির পরিমান খুবই কম।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের কারণে মহেশপুর উপজেলার মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের কালুহুদা, মান্দারবাড়ীয়া, শ্রীরামপুর, বামনগাছী, শংকরহুদা, কাজীরবেড় ইউনিয়নের কোলা, কাজীরড়ে, নিশ্চিন্তপুর, জিন্নাহনগর, নেপা ইউনিয়নের নেপা, গোবিন্দপুর, মাঠপাড়া, মুন্ডুমালা, কুল্লাহ, বাউলি, শ্যামকুড় ইউনিয়নের লড়াইঘাট, শ্যামকুড় মাঠপাড়া, সরিষাঘাটা, গুড়দাহ, যাদবপুর ইউনিয়নের লেবুতলা, মাঠিলা, গয়েশপুর সহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
মাটিলা এলাকার মেম্বর মহি উদ্দীন জানান, গত দুই দিনের ঝড়ের কারণে শত শত বিঘা জমির ধান এক বারেই নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, যে সব জমিতে প্রতি বিঘায় ২৫-৩০ মণ ধান হওয়ার কথা থাকলেও ঝড়ের কারণে সে সব জমিতে বিঘা প্রতি ৫ মণ ধানও আশা করা যাচ্ছে না।
এবার মহেশপুর উপজেলায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী।
যাদবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, তার ইউনিয়নে গত দুই দিনে ঝড়ের কারণে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ধান একে বারেই নষ্ট হয়ে গেছে। বিগত বছর গুলোতেও ঝড় হয়েছে কিন্তু এতো পরিমাণ ক্ষতি হয়নি।
কাজীরবেড় ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর রেজাউল ইসলাম জানান, তার এলাকায় গত দু’দিনের ঝড়ে প্রায় দুই’শ হেক্টর জমির ধান একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ধান গাছগুলো গরু-মহিষের খাবার ছাড়া আর কিছুই সম্ভব না।
নাটিমা ইউপি চেয়ারম্যান ফকির আহম্মদ মাষ্টার জানান, ঝড়ে তার এলাকার ধানগাছ গুলো একেবারেই সাদা হয়ে পড়েছে। তবে ক্ষতির পরিমান তিনি কিছুই বলতে পারেন নি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিরেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, গত দুই দিনের ঝড়ে যে সব জমিতে ধান গাছের ফুল এসেছিল সেই সকল ধানেরই কেবলমাত্র ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ক্ষতির পরিমাণ ১০ ভাগ আশা করা যায়। এছাড়া অন্য কোন ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।