ডেস্ক রিপোর্ট,২ এপ্রিল : সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ কিংবা বাক-স্বাধীনতার ওপর আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন আজ (সোমবার) সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তবে তিনি জানান, তদন্ত প্রক্রিয়ায় ‘অনিষ্টকর প্রভাবের’ বিষয়ে সাংবাদিকরা সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে আদালত।
‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত একটি রুল জারি করে বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে কোনো ‘মনগড়া’ প্রতিবেদন যাতে প্রকাশিত না হয়- তথ্য সচিবকে তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া, সুনির্দিষ্ট অগ্রগতি ছাড়া পুলিশ গণমাধ্যমেকে এ মামলার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে পারবে না।”আদালতের এ ধরনের নির্দেশনার তীব্র সমালোচনা করে আসছিলেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলেন, আদালতের ওই আদেশের কারণে মামলাটি ‘ডিপ ফ্রিজে’ চলে গেছে। আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, লিখিত আদেশে দেখা যায়, আদালত সাংবাদিকদের প্রশংসা করেছেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ অনেকগুলো সুয়েমোটো আদেশ দিয়েছেন। তবে আদালত আশা প্রকাশ করেছেন- সাংবাদিকরা বন্ধুরা এমন কোনো অনুমাননির্ভর সংবাদ প্রকাশ করবেন না যাতে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি রুল জারির দিন আদালতের মৌখিক আদেশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আলতাফ হোসেন বলেন, “আদালত ওইদিন ওপেন কোর্টে আদেশ দেন। পরে তাদের স্বাক্ষরিত লিখিত আদেশ বের হয়। এই লিখিত আদেশই চূড়ান্ত।”
গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর রাজাবাজারে নিজেদের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছারাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। ওই ঘটনায় ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তিদের আসামি করে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়,যার তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই হত্যাকাণ্ডের পর ৫০ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।