বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাদপুর উপজেলা) আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে ব্যাপক গন সংযোগ করতে দেখা গেলেও আটকের ভয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা মতিয়ার রহমানকে দৃশ্যমান নির্বাচনী কোন প্রচার প্রচারনায় দেখা যাচ্ছেনা। জোটে থাকলেও ঝিনাইদহ ৩ আসনে কয়েকবার বিএনপি’র প্রার্থীর বিপক্ষে জামায়াত নেতা মতিয়ার রহমান ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন।ফলে বিএনপি আসনটি হারিয়ে পরাজিত হয়েছে।এই কারনে বিএনপি’র ভোটাররা মতিয়ার রহমানের মনোয়ন ও ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করা কে ভাল চোখে দেখছে না।অপর দিকে জামায়াত নেতার পোস্টারে খালেদা জিয়ার ছবি না থাকায় বিএনপি’র নেতা কর্মীরা ধানের শীষে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।ইতি মধ্যে বেশ কিছু বিএনপি নেতা কর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান করে জোট প্রার্থীকে ভাবিয়ে তুলেছে।
মহেশপুর ও কোঁটচাদপুর উপজেলার সড়ক,হাট-বাজারের অলি-গলিতে আ.লীগের প্রার্থী এ্যাডঃশফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ্যাডঃশফিকুল আজম খাঁন শিডিউল করে দুই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন,ওয়ার্ড ও গ্রামে পালাক্রমে সভা-সমাবেশ করছেন।ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে উন্নয়নের কথা বলে নৌকা প্রতীকের জন্য্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
তবে জামায়াত নেতা মতিয়ার রহমান একাধিক মামলার পলাতক আসামী হওয়াই প্রকাশ্যে ভোটের মাঠে নেই। প্রচারণার মাঠেও নামতে দেখা যাচ্ছেনা জামায়াত বিএনপি’র কোন নেতা কর্মীদের। তবে জোটের নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, মামলা হামলার ভয়ে নির্বাচনী মাঠে না থাকলেও ভোটের দিন তাদের ভোটাররা ধানের শীষে ভোট দিয়ে জামায়াত নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমানকে জিতিয়ে আনবেন।
১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালে প্রাদেশীক পরিষদের নির্বাচনে এই আসনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিলেন আওয়ামীলীগের এ্যাডঃ ময়নুদ্দিন মিয়াজী। ১৯৭৮ ও ১৯৮৬ সালে আইডিএল প্রার্থী মোজাম্মেল হক এই আসনের এমপি নির্বাচিত হন।১৯৮৮ সালে বর্তমান আওয়ামীলীগ প্রার্থী এ্যাডঃশফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের পিতা সামছুল হুদা খাঁন জাতীয় পার্টির এমপি নির্বাটিত হয়েছিলেন।১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও জামায়াতের প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করে আসনটি বিএনপি’র শহীদুল ইসলাম মাস্টার দখলে নেন।২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের বতর্মান প্রার্থী শফিকুল আজম খাঁন বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন।২০১৪ সালে মোঃ নবী নেওয়াজ আওয়ামীলীগের এমপি নির্বাচিত হন।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়ে আওয়ামীলীগের সাবেক সাংসদ এ্যাডঃশফিকুল আজম খাঁন চঞ্চল বলেন, তিনি এমপি থাকা অবস্থায় ও পরে আওয়ামীলীগ সরকার মহেশপুর ও কোটচাদপুর উপজেলায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা,প্রতিবন্ধি ভাতা ও ভিজ্এিফ,ভিজিডি’র আওতায় অনেক সাধারন মানুষ সুবিধা ভোগ করছে।সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের কারনে আওয়ামীলীগের ভোটার ছাড়াও জামায়াত বিএনপি’র অনেক ভোটার তাকে ভোট দিবেন।ইতি মধ্যে বিএনপি,র হাজার খানেক নেতা কর্মী আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে।ফলে সুষ্ঠ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই তিনি বিজয়ী হবেন বলে আশা করছেন।
এই আসনে ইসলামি আন্দোলনের মাওলানা সরোয়ার হোসেন, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার কাারুজ্জামান স্বাধীন ও বিএনএফের ইসমাইল হোসেন প্রতিদ্বন্দিতা করলেও প্রচার-প্রচারণায় দেখা মিলছেনা ।
ভাসমান ভোটাররা মনে করছেন জামায়াত বিএনপি মাঠে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত এ আসনে নৌকা ধানের শীষে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হবে ।