ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। এসব রাসত্মার পাশে আইরিসহ বিভিন্ন প্রকারের গাছ ও ডাল বড় হয়ে জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে নৈশ পরিবহন গুলো চলছে ডাকাতির ঝুঁকি নিয়ে। শুক্রবার রাতে রঘুনাথনাথ নামক স্থানে একটি পরিবহন ডাকাতির কবলে পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদের আগে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের তেুতলতলা, কয়ারগাছি, কালীগঞ্জের ছালভরা,আমবাগান, কেয়াবাগান, রঘুনাথপুর, বারোবাজারের মান্দারতলা, যশোরের চুড়ামনকাটি, সাতমাইলসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পরিবহন ডাকাতি হয়। এসব স্থানের বেশ কয়েকটি জায়গায় রাসত্মার দু’পাশ দিয়ে ব্যাপক জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সময় এই জঙ্গলের মধ্যে ডাকাতরা লুকিয়ে থেকে সড়কে ডাকাতি করে। যখন পরিবহন গুলো জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে তখন পরিবহনের ড্রাইভাররা ভীত সন্ত্রস্ত্র থাকে। হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ জঙ্গলের কারণে সেখানে ডিউটি করতে পারেনা। কালীগঞ্জ উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় ওসি লিয়াকত হোসেন উপস্থাপন করেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে পরিবহনসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের জন্য জঙ্গল পরিস্কার করার বিষয়টি উপস্থাপন করেন। কিন্তু জঙ্গল পরিস্কার না হওয়ায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। প্রতিরাতে ডাকাতির ঝুঁকি নিয়ে নৈশ পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনকে চলতে হচ্ছে।
যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের দুলালমুন্দিয়া, কেয়াবাগান, রঘুনাথপুর,মান্দারতলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রাসত্মার দু’পার্শ্বে আইরিসহ বিভিন্ন প্রকার গাছ বড় হয়ে জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। রাতে সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে এসব জঙ্গল কেটে ফেলা একামত্ম প্রয়োজন।
বারোবাজার হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট জামাল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতেও রঘুনাথপুর নামক স্থানে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। কিন্তু হাইওয়ে পুলিশ তড়িত ব্যবস্থা নেয়ায় ডাকাতি করতে পারিনি। ওই স্থানের রাসত্মার দু’পাশে আইরিসহ বিভিন্ন গাছ ও ডাল বড় হয়ে ব্যাপক জঙ্গলের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো জানান, জঙ্গলের মধ্যে শত শত মানুষ লুকিয়ে থাকলেও তা দেখা যাবে না।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরাদুল হক জানান, জঙ্গলের বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।