আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ এক দিনের সফরে মৌলভীবাজারে গিয়ে শ্রীমঙ্গলের বিখ্যাত সাত রঙা চা পান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শনিবার দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রেস্ট হাউজে তাকে এক গ্লাস চা বানিয়ে দেন সাত রঙা চায়ের উদ্ভাবক রমেশ রাম গৌড়।চা খুব ভালো হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন বলে জানান রমেশ।নীলকণ্ঠ চা কেবিনের মালিক রমেশ জানান,গত ২৪ নভেম্বর রাতে সংসদের চিফ হুইপ আব্দুস শহীদ আমাকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সাত রঙের চা পান করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমাকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সাত রঙের স্পেশাল এক গ্লাস চা তৈরি করতে হবে।তিনি বলেন, বেলা ১টার দিকে বিজিবি রেস্ট হাউজে তিনি সাত রঙের এক কাপ চা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে দেন।রমেশ রাম গৌড় শেখ হাসিনাকে প্রণাম করলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন।বঙ্গবন্ধু কন্যাকে চা পান করানোর এই বিরল দৃশ্যের ছবি তোলা সম্ভব হয়নি নিরাপত্তাজনিত কারণে। এ জন্য আফসোস করেন রমেশ।তবে প্রধানমন্ত্রী যে গ্লাসে চা পান করেছেন সেটি একটি কাচের বাক্সে রেখে সংরক্ষণ করবেন বলে তিনি জানান।রমেশের তৈরি এ চা আরো পান করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধান হুইপ আব্দুস শহীদ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।বেলা ১২ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে শ্রীমঙ্গলের বিজিবি’র হ্যালিপ্যাডে অবতরণ করেন। বিজিবি’র রেস্ট হাউজে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন।এরপর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।সেখানে এক সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন। এছাড়া চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও জানান।শ্রীমঙ্গল থেকে বেলা ১টার দিকে তিনি মৌলভীবাজারের পৌছান। সেখানে তিনি মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল, মৌলভীবাজার আবহাওয়া অফিস ও মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট উদ্বোধন করেন।এরপর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন, মৌলভীবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্স, জাতীয় মহিলা সংস্থা ভবন, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন