কুষ্টিয়া মডেল থানার ডিবির দারোগা পরিচয় দিয়ে ও মোবাইল কললিষ্ট নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মোবাইল উদ্ধার ও আসামী আটকের চেষ্টা করলে এলাকাবাসী আলমগীর হোসেন সবুজ (১৮), আশরাফ উদ্দীন (১৮), তুহিন উদ্দীন (১৭) ও তরিকুল ইসলাম (১৮) নামের ৪ সন্ত্রাসীকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপদ্দ করেছে।।
ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকার শ্যামকুড় গ্রামে।
থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানাগেছে, কুষ্টিয়া সদর থানার মঙ্গলবাড়ীয়া গ্রামের আবু তালেবের পুত্র তরিকুল ইসলাম একই এলাকার জসীম উদ্দীনের পুত্র তুহিন উদ্দীন, আজমত আলী পুত্র আলমগীর হোসেন সবুজ ও মীরপুর উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের আব্দুল জববারের পুত্র আশরাফ উদ্দীন শাহিন কুষ্টিয়া মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনির হোসেনের কাছ থেকে থানার গোপণীয় ফাইলের অতি গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল কললিষ্ট নিয়ে জীবননগর উপজেলার শাখারিয়া গ্রামে হাবিবুর রহমানের কাছ থেকে তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল তার কাছে আছে বলে জোর পূর্বক বাজার থেকে তাকে দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিতে বাধ্য করে। পরে দুপুরে মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে আর একটি মোবাইলের সন্ধানে গিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানা দারোগা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর সময় এলাকাবাসী সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাদের ধরে গণধোলাই দেয়। পরে এলাকাবাসী ৮ভুয়া ডিবি পুলিশকে মহেশপুর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করে।
ভূয়া পুলিশ ও দারোগা পরিচয় দানকারী ছাত্র তুহিন উদ্দীন ও তরিকুল ইসলাম জানান তারা সবাই কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ছাত্র। তারা কুষ্টিয়া মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনির হোসেনের কাছ থেকে একটি কললিষ্ট নিয়ে হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করতে এসেছিল।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্য আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটককৃত ৪ যুবকই কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ছাত্র। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অতি গুরুত্বপূর্ণ কললিষ্ট তাদের কাছে কিভাবে গেল সে বিষয়ে খোজ খবরও নেওয়া হচ্ছে।