আবদুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ
রাজনগর উপজেলার ১ নং ফতেপুর ইউনিয়ন অফিসে বুধবার বেলা ১ ঘঠিকায় ৩ সন্তানের এক জননীকে স্ত্রী দাবী করে কথিত দুই স্বামীর মধ্যে কথাকাঠাকাঠির একপার্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটলে ইউপি অফিসে জড়ো হয় শত-শত উৎসাহী জনতা।পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারদের শালীসে বিষয়টির নিস্পতি ঘটে।
জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার সুন্দর মিয়ার পুত্র আং রশিদের{৪০} সাথে একই জেলার নুরজাহান বেগম {৩০} সাথে দশ বছর পুর্বে কাবিননামা সম্পাদনের মাধ্যমে বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে তারা বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের হাসপাতাল কলোনীতে একটি ভাড়া রুমে বসবাস করে আসছিল।এর মধ্যে রাজু মিয়া{৭} সপ্না বেগম{৪} নাছিমা বেগম {৫} নামে ৩ টি সন্তানের জন্ম হয় তাদের।নুরজাহান বেগমের অভিযোগ সন্তান জন্ম নেয়ার পর ও তার স্বামী আং রশিদ পরপর আরো তিনটি বিয়ে করে।এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হলে স্ত্রী নুরজাহান বেগম স্বামীর ঘর ছেড়ে রাজনগরের মোকামবাজারে ছমছু মাষ্টারের রাইছ মিলে কাজ নেয়।রাইছ মিলে কয়েকদিন কাজ করতে-করতে রাইছ মিলের চালক তলতলা গ্রামের বিবাহিত ৪ সন্তানের জনক জগলু মিয়ার প্রেমে পড়ে গত ১২ এপ্রিল স্থানীয় আঙ্গুর মৌলভীর মাধ্যেমে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।কন্তু পুবের্র স্বামী আং রশিদকে কোন প্রকার আইনী তালাক প্রদান না করেই এই বিবাহ হয় বলে শালিস বৈঠকে নুরজাহান জানায়।এদিকে পুবের্র স্বামী নুরুজাহানের এ বিয়ের খবর শুনে লোকজন নিয়ে বিচারের আশায় হাজির হয় ফতেপুর ইউনিয়ন অফিসে।ঐ দিন চেয়ারম্যানের উপস্থিতি ছিলনা বলে বিষয়টি মিমাংসার উদ্দ্যেশ্য ইউপি মেম্বার মইন উদ্দীন মেম্বার,আমির আলী মেম্বার,কমর উদ্দীন মেম্বার নুরজাহান সহ কথিত স্বামী জগলু মিয়াকে ইউপি অফিসে ডেকে আনে।উৎসুক শতশত মানুষের ভীড়ে কথিত দুই স্বামী সহ নুরজাহানের জবানবন্ধী শুনে বিচারকরা তাদেরকে এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় চলে যাবার জন্য রায় দেন।রায়ের পর নুরজাহান তার কথিত স্বামী জগলু মিয়ার হাত ধরে চলে যেতে থাকলে পুবের্র স্বামী আং রশিদ জোর করে একটি সিএনজিতে করে তার স্ত্রী দাবী করে নুরজাহানকে তোলে নিয়ে যায়।ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।