বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (৫০) ও আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার শিকদারের পুত্র রেজাউল(২২) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টার দিকে শিক্ষা অফিসার মোঃ আনিসুর রহমানের অফিস কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সাখাওয়াত হোসেন। সকাল ৯ টায় শিক্ষা অফিসের কর্মচারীরা জানালা থেকে সাখাওয়াতকে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট মর্গে পাঠায়। তার চাকুরীর বয়স হয়েছিল প্রায় ২০ বছর। সে শরণখোলা থেকে ডেপুটেশনে মোড়েলগঞ্জ অফিসে কর্মরত ছিল।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাখাওয়াত হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারণার আশ্রয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এভাবে সে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার দেনা হয়। এ ব্যাপরে তার বিরুদ্ধে ৩টি প্রতারণা মামলা বাগেরহাট আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। অতি সম্প্রতি সে একটি প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হলে কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করে। পাওনাদারেরা টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি ও পথেঘাটে লাঞ্চিত করতে শুরু করলে সাখাওয়াত মানষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং পারিবারিক ভাবেও অশান্তি দেখা দেয়। টাকা পরিশোধের সামর্থ না থাকায় নিত্য লাঞ্চনা থেকে নিস্কৃতি পেতে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। সাখাওয়াতের ৩ টি কন্যা সন্তান রয়েছে। অপরদিকে আলতিবুরুজবাড়িয়া গ্রামের যুবক রেজাউল নিয়মিত মাদক সেবনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মানষিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় জীবন যাপন করছিল। গতকাল সকালে নিজ বাড়ির বাগানে গাছের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে বাগেরহাট মর্গে পাঠিয়েছে। উভয় ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।