আব্দুল হাকিম রাজ,মৌলভীবাজার থেকেঃ
মৌলভীবাজার পিটিআই সুপার একেএম সাইফুল হাসানের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক শিা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে প্রেরিত অভিভাবকদের স্বারিত অভিযোগপত্র এবং কয়েকজন অভিভাবক সূত্রে জানা যায়- একেএম সাইফুল হাসান মৌলভীবাজার পিটিআইতে যোগদানের পর থেকে পিটিআই এবং পিটিআই সংলগ্ন পরীন বিদ্যালয়ে অনিয়ম-দূর্ণীতির রাজত্ব কায়েম করেছেন। তিনি পরীন বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত সকল শ্রেণীর পরীার ফি ৭০ টাকা, ছাত্রছাত্রীদেরকে বিনামূল্যে বিতরনের বই প্রদানের জন্য ৫০ টাকা, বুয়ার বেতন-ভাতা বাবদ ১শ ২০ টাকা, ঝাড়– ও হারপিকের জন্য ৪০ টাকা, বিভিন্ন অনুদানের নামে ২শ টাকা, সংস্থাপন বিল বাবদ (জুন) প্রশিনার্থী ছাত্রদের কাছ থেকে ৩শ টাকা এবং ছাত্রীদের কাছ থেকে ২শ টাকা হারে আদায় করে আসছেন। যেসব প্রশিনার্থী পিটিআই হোস্টেলে থাকেনা তাদের কাছ থেকেও তিনি সংস্থাপন বিল বাবদ উল্লিখিত পরিমান অর্থ আদায় করছেন। একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন, সকল অভিভাবকের প্রতি তার অলিখিত নির্দেশ- বই বিতরণের আগেই উল্লিখিত সকল অর্থ একত্রে পরিশোধ করা না হলে সংশ্লিষ্ট শিার্থীকে বই প্রদান করা হবেনা। এছাড়া, বিভিন্ন খাতে সরকারী বরাদ্দের অর্থ কারচুপির মৌখিক অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। সুপার একেএম সাইফুল হাসান সপ্তাহের প্রায় প্রতি বৃহষ্পতিবার বাড়ীতে চলে যান এবং রবিবার বাড়ী থেকে ফিরেন। হাজিরা বইয়ে উপস্থিতি স্বার থাকলেও, প্রকৃতপ,ে প্রায় প্রতি শনিবার তিনি অবৈধভাবে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। এসব অনিয়ম-দূর্ণীতির ব্যাপারে অভিভাবক বা সংশ্লিষ্ট কেহ কোন প্রশ্ন তুললে সুপার একেএম সাইফুল হাসান তাদের সাথে অশোভন আচরন করেন। কেহ প্রতিবাদী হলে তিনি প্রতিবাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপবাদ ও কুৎসা রটনা করেন। এসব কারণে অতীষ্ট হয়ে অভিভাবকরা প্রাথমিক শিা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ প্রেরণ করেন। এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত সুপার একেএম সাইফুল হাসান সবকিছু অস্বীকার করে বলেন- এসব ষড়যন্ত্রমূলক। তার এ বক্তব্যের স্বপে প্রদর্শিত কাগজাত দর্শনে সবকিছু যথাযথ বলে প্রাথমিকভাবে মনে হলেও, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের যথার্থতা রয়েছে।